দোহারের মিনি-কক্সবাজারে ঈদ আনন্দের মেলা

বিপ্লব ঘোষ.
ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মাপারের মিনি-কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট এলাকায় জমে উঠেছে ঈদ আনন্দের মেলা। নদীর পারে জেগে ওঠা অসংখ্য বালুর চর আর সূর্য্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখতে পর্যটকরা ভীড় করছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈদের দিন থেকেই নানান বয়সী মানুষের ঈদ আনন্দ জমে উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, শ্রীনগরসহ দেশের বিভিন্ন অ লের প্রায় ২০ হাজার পর্যটকের সমাগম দেখা গেছে। নদীর তীরে বসেছে গ্রাম্য মেলা।
সকাল থেকে শত শত গাড়ী ভর্তি নানান বয়সী দর্শনার্থীর ভীরে পা ফেলার জায়গা থাকছে না। দর্শনার্থীদের ভাষায় মনোমুগ্ধকর স্থানটি হয়ে উঠেছে মিনি কক্সবাজার। যারা একবার দেখেছেন তারাই অনূভব করতে পেরেছেন এই অপরুপ স্থানের সৌন্দর্য্য। এখানে আঁকাশ ও নদীর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে দৃশ্য মনকে আবেগ তাড়িত করে তুলে। বর্ষার পানিতে কানায় কানায় ভরে উঠেছে নদী। আর পানিতে হাঁটতে গেলে মনে হয় যেন কক্সবাজার বা অন্য কোনো সমুদ্র সৈকতে হেঁটে চলেছি। কেউ পানিতে হেঁেট, কেউ ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে, আবার কেউ স্পীডবোটে অথবা ছোট নৌকায় করে ঘুরে সময় কাটাচ্ছে মনের আনন্দে।
ঘুরতে আসা তরুণী তানিয়া জামান জানান, পদ্মাপারের এ দৃশ্য যেন আমাকে আবেগ তাড়িত করেছে। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের আরেক নাম যেন মৈনট। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। অনেক আনন্দ করছি।
রাজধানীর মিরপুর থেকে ঘুরতে আসা নঈম ইসলাম বলেন, ৫ বন্ধু মিলে ঘুরতে এসেছি। পদ্মার দৃশ্য মন কাড়ার মতো। স্পীড বোটে ঘুরে বেড়াতে খুব ভালো লাগে।
কেরানীগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এর আগেও আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছি। এমন প্রাকৃতিক সুন্দর্য্য দেখে মন মুগ্ধ হয়ে যায়। পর্যটন হিসেবে এই স্থানটি বেছে নিলে খুবই চমৎকার হবে।
পদ্মার পাড়ে বেড়াতে আসা জনসাধারণের মতে, দোহারের মৈনটকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। অন্যদিকে পর্যটন শিল্পে যোগ হবে আরেকটি নতুন এলাকা। সেই সুবাদে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়া অবহেলিত দোহারবাসী। সেই সাথে এই জনপদের মানুষের জন্য নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে। গড়ে উঠবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।

আপনি আরও পড়তে পারেন